𝐑𝐨𝐚𝐝 𝐭𝐨 𝐑𝐞𝐟𝐨𝐫𝐦  ক্ষেত্র: অভিবাসন/মাইগ্রেশন 

দীর্ঘদিনের অচলায়তনের পর ঐতিহাসিক এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সুযোগ আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টরে পরিবর্তন আনার এটিই উপযুক্ত সময়। আপনারা কেমন পরিবর্তন চান তা জানার মাধ্যমে পরবর্তীতে একটি অ্যাডভোকেসি এজেন্ডায় পরিণত করা যাবে।

 অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু রিফর্ম তুলে ধরেছি। 

 

১. বাজেটে প্রণোদনা বৃদ্ধি:

বর্তমানে বৈধপথে রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের বাড়তি যে টাকা পরিবারগুলো ভর্তুকি হিসেবে পায়, হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠালে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা পায় প্রবাসীদের পরিবার। হুন্ডি ঠেকিয়ে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স আনতে বাজেটে দরকার রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধি।

 

২. এম্বাসিতে হটলাইন সংযোগ:

অভিবাসী কর্মীদের নিরাপত্তা এবং জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি এম্বাসির সাথে সরাসরি হটলাইন সংযোগ চালু করা। একই সাথে অভিবাসী কর্মীদের জন্য অভিযোগ প্রক্রিয়া শুরু করা যেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জানতে পারা যায় এবং দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।

 

৩. অধিকতর দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি:

বাংলাদেশের  অন্যান্য অভিবাসী -শ্রমিক গ্রহণকারী দেশের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এর পরিবর্তে অধিকতর দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করা। এতে করে একই সাথে যেমন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিদেশের মাটিতে নতুন বাজার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তেমনি অভিবাসী কর্মীদের নিরাপত্তা ও যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে উভয় দেশই দায়বদ্ধ থাকবে।

 

৪. উন্নত প্রশিক্ষণ:

উন্নত প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণার্থীদের ধরে রাখার জন্য, জনশক্তি ব্যুরো তাদের NTVQF ফরম্যাট এর সদ্ব্যবহারের বৃদ্ধি প্রয়োজন। সান্ধ্যকালীন প্রশিক্ষণ প্রণয়ন করার প্রয়োজন যাতে এটি প্রশিক্ষণার্থীদের দিনের কাজে বাধা না দেয়।  প্রশিক্ষণগুলিকে এমনভাবে বানানো উচিত যাতে প্রশিক্ষণার্থী “কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড” এর আওতায় দেশের মধ্যে কাজ করতে পারে।

 

✍️ লেখায়: তাহিয়া আফরা জান্নাতি, রুফাইদা আনীলা, আবু বকর সাকিব, শাহারিন হায়দার নিকিতা

ওয়াইপিএফ সেইফ মাইগ্রেশন পলিসি টিম