সঠিক উত্তর হল A

যে কারনে এটি সঠিকঃ

জেন্ডার স্টেরিওটাইপ বলতে লিঙ্গভিত্তিক একটি গতানুগতিক বা অতিসরলীকৃত ধ্যান ধারণাকে বোঝায়, যা নারী ও পুরুষের বৈশিষ্ট্য, আচরণ, পেশা বা ভূমিকা সম্পর্কে সমাজের একটি পূর্বনির্ধারিত বিশ্বাসকে বোঝায়। অর্থাৎ কে কী করবে বা কেমন আচরণ করবে তা কেবল লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে ঠিক করে নেওয়াকেই বলে জেন্ডার স্টেরিওটাইপ। 

সঠিক উত্তর হল B

যে কারনে এটি সঠিকঃ

মানুষের পেশা, শখ বা কর্ম তার লিঙ্গের উপর নির্ভর করে না। নারীকে যেমন রান্নাঘরে মানায়, তেমনি কর্মক্ষেত্রেও মানায়। পুরুষের বেলায়ও তাই। যেমন কমিকের রেহানা পরিবারের কথাই ধরা যাক– গৃহিণী হিসেবে সংসারের যাবতীয় কাজ রেহানার উপর না দিয়ে সবাই মিলে কাজ করলে সবার মাঝে সুসম্পর্ক থাকতো। একই সাথে এটি দায়িত্বশীলতা, দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদিতেও সহায়তা করে

সঠিক উত্তর হল A

যে কারনে এটি সঠিকঃ

জেন্ডার স্টেরিওটাইপ নারী-পুরুষের পছন্দ, কার্যক্রম ও শখ-স্বাচ্ছন্দ্যের বিরুদ্ধে এক ধরণের পৃথকীকরণ মনোভাব গড়ে তোলে। ফলে এটি মানুষের মনকে সংকীর্ণ করে, সীমাবদ্ধ করে, মেয়েদের আত্মমর্যাদা কমায়, ছেলেদের মধ্যে দক্ষতার ঘাটতি সৃষ্টি করে এবং ভবিষ্যতে তারা কে কোন ধরনের পেশায় যাবে, সেই সিদ্ধান্তকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। যেমন ছেলেদের রাঁধুনির পেশায় মানায় না, বা মেয়েদের খেলাধুলায় সাজে না- এ ধরণের ভ্রান্ত ধারণা সমাজে বিদ্যমান।

সঠিক উত্তর হল A

যে কারনে এটি সঠিকঃ

দায়িত্ব পালনে নারী পুরুষ উভয়ই সমানভাবে দক্ষ। তাই সঠিক আচরণ তখনি হবে যখন উভয়ের মাঝে সমান ও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগি করা যাবে। কমিকের শেষ পর্বে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রেহানা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা সাংসারিক কাজ কর্মগুলো নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এতে একজনের উপর চাপ পড়বে না, সবার কাজের দক্ষতা বাড়বে।

সঠিক উত্তর হল A

যে কারনে এটি সঠিকঃ

জেন্ডার স্টেরিওটাইপ ভাঙলে সমাজের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন নারী-পুরুষ বিভেদীকরণ মনোভাব, মানসিক সংকীর্ণতা ইত্যাদি ভেঙে ফেলবে। মানুষের বিকাশের পথে এই ভ্রান্ত ধারণাগুলি আর প্রভাব ফেলবে না। যার ফলে সমাজে সমতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।