যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক ভিডিওসমূহ
“অধিকার এখানে, এখনই” প্রকল্পের আওতায় ওয়াইপিএফ উদ্যোগ নিয়েছে তরুণদের মাঝে কিছুটা ভিন্নভাবে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার। এরই প্রয়াস হিসেবে বাংলাদেশি আর্টিস্ট মাসুদা খান এর সাথে ওয়াইপিএফ বানিয়েছে “সম্মতির puzzle” ভিডিওটি, যেখানে puzzle এর মাধ্যমে দুজন মানুষের সম্পর্কের মধ্যে সম্মতির গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে।
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে নারীরা ভালো ড্রাইভিং পারে না? অথবা ঘর সামলানো শুধু নারীদের কাজ? যদি তাই হয় তাহলে আপনি হয়তোবা জেন্ডার নর্মস নামক বায়াসে আক্রান্ত।
বাংলাদেশি আর্টিস্ট মাসুদা খান এর সাথে ওয়াইপিএফ এর ভিডিওটি এই স্টেরিওটাইপগুলির মুখোমুখি হয়ে সামাজিক প্রত্যাশাকে চ্যালেঞ্জ করার প্রত্যয় যোগায়।
কীভাবে আমরা পিতামাতা, শিক্ষক এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে- তরুণদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে নিযুক্ত করতে পারি? লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা কীভাবে সক্রিয়ভাবে পুরুষ জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে পারি? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি এবং আরও অনেক কিছুর সমাধান বের করার জন্য- আমরা সিডো, আইসিপিডি এবং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলির সাথে বাংলাদেশের আনুগত্যের পরিমাণ খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে এই সংলাপটি
ওয়াইপিএফের অধিকার এখানে, এখনই (Right Here Right Now – Bangladesh Platform) প্রকল্পের সদস্য নাইমা নুসরাত অরোরা ব্র্যাক আয়োজিত যুব উৎসবে ভিডিও তৈরির প্রতিযোগিতায় এই ভিডিওটি তৈরি করে ত্রিশ জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। ওয়াইপিএফের পক্ষ থেকে তাকে জানাই অভিনন্দন
মাইশা মাহজাবীন প্রিয়তী (Priooty Mahjabeen) এর সাথে ওয়াইপিএফ বানিয়েছে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ভিডিও যেখানে তিনি তার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মাইশা মাহজাবীন প্রিয়তী (Priooty Mahjabeen) এর সাথে ওয়াইপিএফ বানিয়েছে একটি ভিডিও যেখানে নারীদের দৈনন্দিন জীবনে উন্নত স্যানিটেশন চাহিদা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য পৃথক স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় একজন নারী কী কী ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন তা তুলে ধরা হয়েছে। প্রিয়তী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
Youth Policy Forum (YPF)xRight Here, Right Now 2 (RHRN2) and Dhaka FM 90.4 bring you a thought-provoking dialogue: “Exploring Gender Roles Through the Lens of Youth.”
Discover how our youth can lead the change in dismantling stereotypes within their communities. Let’s come together to empower change and drive the conversation toward a more inclusive future!
2025
এ বছর CSW69 এ অংশ নেয় আমাদের RHRN প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটি মেম্বার সায়মা মতিন। ২০২৫ সালে বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওয়াইপিএফ আয়োজন করে “30 Years of the Beijing Platform: Lessons, Gaps, and the Road Ahead” শীর্ষক একটি ওয়েবিনার। CSW69-এ অংশগ্রহণকারী সায়মা মতিনসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় বেইজিং+৩০ প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা, অর্জন এবং এখনও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে তৈরী করা হয় ২টি ভিডিও যেখানে তরুণদের মতামত উঠে আসে, ১টি রেডিও শো, ১টি তথ্যভিত্তিক রিল এবং একটি বিশেষনাত্মক ভিডিও।
আমরা জেনেছি তরুণদের মতামত- আজকের সময়ে মাস্কুলিনিটি বলতে তারা কী বোঝে, আর এই ডিজিটাল যুগে কীভাবে তারা ইতিবাচক পুরুষত্বের ধারণা অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
তাদের কথা, অভিজ্ঞতা ও ভাবনাগুলো এই আলোচনাকে করেছে আরও প্রাণবন্ত ও বাস্তবসম্মত।
এবার আমাদের রেডিও শো–তেও উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা। তরুণদের ভাষায় সেখানে উঠে এসেছে পুরুষদের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে ভাবার সামাজিক চাপ, টক্সিক মাস্কুলিনিটির প্রভাব, এবং সম্মান–সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পজিটিভ মাস্কুলিনিটি–র প্রয়োজনীয়তা। আলোচনায় সবাই জোর দিয়েছেন—মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন, পারিবারিক সমতায় প্রশিক্ষণ, আর পরস্পরের প্রতি সম্মানই পারে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক ও সমতা প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিতে।
আমাদের প্রায় মনে হয় এতো কাজ, কিন্তু সময় এতো কম কেন? এ রিলের মাধ্যমে টাইম পোভার্টি ধারণা বুঝলে বোঝা যায় কীভাবে সময়ের বৈষম্য আমাদের দৈনন্দিন জীবন, উৎপাদনশীলতা ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।
মাইশা মাহজাবীন প্রিয়তি (Priooty Mahjabeen) এর সাথে ওয়াইপিএফ বানিয়েছে একটি ভিডিও যেখানে তুলে ধরা হয়েছে অনলাইনে সেক্সিস্ট রসিকতা ও ‘রেড পিল’ কনটেন্টের পেছনের মনস্তত্ত্ব কেমন হয়ে থাকে। একইসঙ্গে,দায়িত্বশীল আচরণ ও ইতিবাচক পুরুষত্ব গড়ে তুলতে যুবসমাজকে কীভাবে এগিয়ে আসতে পারে – সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল মানসিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দুইটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. তাসদিক হাসান দেখিয়েছেন কীভাবে অনলাইনে ছড়িয়ে থাকা ভুল তথ্য পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে সবাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহায়তা নিতে পারেন এবং একই সঙ্গে এসব ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
একইসাথে আয়োজন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য “Access to Services: Mental Health in Catastrophes and Emergencies”-এর আলোকে আরেকটি রেডিও শো “সংকট থেকে সহায়তায়: সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড (PFA) ও ডিজিটাল মেন্টাল হেলথের গুরুত্ব”। এখানে জরুরি পরিস্থিতিতে Psychological First Aid (PFA)-এর গুরুত্ব এবং ডিজিটাল সাপোর্ট টুলের ভূমিকা নিয়ে কথা বলা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ বাস্তবতায় মানসিক সহায়তার চাহিদা, বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে আরও সহজলভ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে।
আমরা এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বুথ ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করেছি। বুথ এবং ওয়ার্কশপে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল প্রাণবন্ত এবং স্বতঃস্ফুর্ত।
সে সকল আয়োজনের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ধারণা শেয়ার করেছেন এবং জানিয়েছেন, আমাদের ওয়ার্কশপ থেকে তারা মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা এবং সহায়তা নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিখতে পেরেছেন।
এছাড়াও আমাদের ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরদের দক্ষতা বাড়াতে আয়োজন করা হয় দুটি রেসিডেন্সিয়াল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি সেশন।
প্রথম সেশনে তারা শেখেন পলিসি কমিউনিকেশন এবং জেন্ডার–সেনসিটিভ কনটেন্ট তৈরি সম্পর্কে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের শেখা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
দ্বিতীয় সেশনে তারা পরিচিত হন মানসিক স্বাস্থ্য, Psychological First Aid (PFA) এবং বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য নীতিমালা বিষয়ে। সেশন শেষে অনুষ্ঠিত হয় একটি পলিসি কম্পিটিশন, যেখানে ৫ দলে বিভক্ত তরুণরা স্বনামধন্য অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রিস্ট এবং পেশাজীবীদের সামনে মানসিক স্বাস্থ্য নীতির ঘাটতি ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
তাদের উপস্থাপনাগুলো নীচের ভিডিওগুলোতে পাওয়া যাবে।