Week 17 of 2023 – YPF Around the Globe (Bangla)

সময়সীমা: ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

সম্পাদনায়ঃ Farhan Uddin Ahmed, G.M. Sifat Iqbal, এবং Safin Mahmood

ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন এ লিঙ্ক

১. রাজনীতি 

ট্রাম্প এবং ক্যাপিটল দাঙ্গার তদন্তে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাইক পেন্স

২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় উল্টে দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযুক্ত প্রচেষ্টার তদন্তের অংশ হিসাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

একটি আপিল আদালত সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য মিঃ ট্রাম্পের আইনী দলের শেষ সময়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার কয়েক ঘন্টা পরে বৃহস্পতিবার মিঃ পেন্সের উপস্থিতি হয়।

মিঃ পেন্সের আইনজীবীরাও রিটকে চ্যালেঞ্জ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন, যুক্তি দিয়েছিলেন যে তার অফিসে থাকাকালীন সিনেটের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার ভূমিকার অর্থ তার কংগ্রেসের ইমিউনিটি ছিল।

তার চূড়ান্ত সাক্ষ্য, যা কয়েক মাস ধরে চাওয়া হয়েছিল, একটি দুই বছরের তদন্তের প্রধান মাইলফলক যা ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে মিঃ ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরা চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টায় এবং তদন্তের ক্ষেত্রে ফেডারেল আইন ভঙ্গ করেছে কিনা সে সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করছে এবং সেইসাথে ৬ জানুয়ারী ২০২১-এ ইউএস ক্যাপিটলে দাঙ্গা তদন্ত করছে।

মিঃ পেন্স ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে, যা তাকে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য সরাসরি তার প্রাক্তন বসকে চ্যালেঞ্জ করতে দেখবে।

সূত্রঃ বিবিসি

বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে মোট ব্যয় সর্বকালের সর্বোচ্চ ২.২৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে সামরিক ব্যয় তীব্রভাবে বৃদ্ধির পাওয়ায় ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় সর্বকালের সর্বোচ্চ ২.২৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে,

এক্ষেত্রে ইউরোপে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্তত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এসআইপিআরআই এর তথ্যমতে, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সাথে যুক্ত, তবে অন্যান্য দেশগুলিও চলমান রাশিয়ান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় সামরিক ব্যয় তথা সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

এছাড়াও, এ রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী হিসেবে রয়ে গেছে। অঙ্কের হিসেবে যা – ০.৭ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালে ৮৭৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে – যা মোট বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশ।

সূত্রঃ আল-জাজিরা

২. অর্থনীতি ও ব্যবসা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ এখনও ধীর গতিতে

উদ্যোক্তাদের মতে, রপ্তানির ক্ষেত্রগুলোকে বহুমুখী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পরিকল্পনাগুলি এখনও প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে পারেনি কারণ অগ্রাধিকার খাতগুলি ২০২১-২৪ সালের রপ্তানি নীতিতে প্রতিশ্রুত বেশিরভাগ সুবিধা ভোগ করছে না।

এর অর্থ পোশাক খাত জাতীয় রপ্তানি ঝুড়িতে তার আধিপত্য অব্যাহত রেখেছে: চলমান আর্থিক বছরের জুলাই-মার্চ সময়ের মধ্যে দেশের বৈদেশিক বিক্রয়ের ৮৪.৫০ শতাংশ পোশাক থেকে ছিল।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম মনে করেন, সরকার যদি বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চায়, তাহলে পণ্য ও বাজারের বৈচিত্র্য আনতে হবে।

সূত্রঃ দ্য ডেইলি স্টার

যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক দল কর্তৃক বাধার মুখোমুখি মাইক্রোসফটের অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের ক্রয়চুক্তিঃ নিন্দা প্রকাশ করল মাইক্রোসফট ও অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড

অবশেষে যুক্তরাজ্যের কমপিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটির বাঁধার মুখে মার্কিন ভিডিও গেম কোম্পানি অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডকে ৬৮.৭ বিলিয়ন ডলারে (৫৫ বিলিয়ন পাউন্ড) কিনতে চাওয়া মাইক্রোসফটের ক্রয়চুক্তি।

প্রস্তাবিত টেকওভার অনুযায়ী মাইক্রোসফট কল অফ ডিউটি ​​এবং ক্যান্ডি ক্রাশের মতো জনপ্রিয় গেমগুলোর মালিকানা গ্রহণ করবে ।

তবে কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এই চুক্তির ফলে দ্রুত বর্ধনশীল ক্লাউড গেমিং ব্যবসায় আঘাত আনা ছাড়াও গেমারদের জন্য বিকল্প কমে আসার পাশাপাশি গেমে সৃজনশীলতা কমে আসতে পারে যা একটি উদ্বেগের কারণ।

তবে এই বাধার কারণে মাইক্রোসফ্ট এবং অ্যাক্টিভিশন সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে তারা আপিল করবে।

সূত্রঃ বিবিসি

৩. সমাজ

জরিপে দেখা গেছে যে বেশিরভাগ মার্কিন নাগরিক গর্ভপাত করাতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে

পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে যে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আমেরিকান বিশ্বাস করে যে গর্ভপাত করা কঠিন হবে, বিশেষত যে সব রাজ্যে এই পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, যেসব রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেসব রাজ্যে বসবাসকারী ৭১ শতাংশ মানুষ বলছেন, গর্ভপাত করা কঠিন হবে, যা ২০১৯ সালে ছিল ৫০ শতাংশ। একইভাবে, যেসব রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ বা আইনি বিরোধের মধ্যে রয়েছে, সেখানে জরিপে অংশ নেওয়া ৫৬ শতাংশ বলেছেন যে গর্ভপাত করা কঠিন হবে, যেখানে চার বছর আগে ৪১ শতাংশ বলেছিলেন। এদিকে, যেসব রাজ্যে গর্ভপাত বৈধ, সেখানে মাত্র ২২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে গর্ভপাত করা কঠিন হবে, যা ২০১৯ সালে ১৯ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। দেশব্যাপী জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৫৪ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন যে গর্ভপাত করা খুব বা কিছুটা সহজ হবে, যা ২০১৯ সালে ছিল ৬৪ শতাংশ।

এই ফলাফলগুলি ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে, কারণ রাষ্ট্রপতি বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থীরা উভয়ই এই ইস্যুতে নিজেদের আলাদা করার চেষ্টা করছেন। গর্ভপাত একটি কেন্দ্রীয় ইস্যু হতে চলেছে এবং জরিপটি পরামর্শ দেয় যে এটি অনেক ভোটারের জন্য উদ্বেগের বিষয় হবে।

জরিপে আরও দেখা গেছে যে, গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান ঘটানোর সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় সত্ত্বেও, ৮০% আমেরিকান বলেছেন যে এই ইস্যুতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬২% বলেছেন যে গর্ভপাত সমস্ত বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈধ হওয়া উচিত, এবং ৩৪% বলেছেন যে তাদের অঞ্চলে গর্ভপাত করা সহজ হওয়া উচিত। জরিপটি ২৭ শে মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল এবং এতে ±১.৭ শতাংশ পয়েন্টের ভুলের ব্যবধান রয়েছে।

সূত্রঃ আক্সিওস

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রতিবেদনের যাবতীয় তথ্য তৃতীয় কোন মাধ্যম থেকে নেয়া হয়েছে এবং সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (YPF) কোন ভুল তথ্য উপস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে না।

Leave a Comment

Scroll to Top