নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে: শফিকুল আলম

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে বহু বছর যাবৎ কাজ করছেন দি ন্যাশনাল ব্যুরো অফ এশিয়ান রিসার্চের এনার্জি ফেলো, জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম। পাশাপাশি তিনি ইয়ুথ পলিসি ফোরামের জ্বালানি ও অবকাঠামো পলিসি নেটওয়ার্কের (Energy and Infrastructure) একজন ফেলো। ইয়ুথ পলিসি ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা ‘এক্সপার্টস টেক’ আয়োজনের মাধ্যমে এই খাতের বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সমসাময়িক অবস্থা ও ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে জানতে ও জানাতে চেষ্টা করছি।

এই পর্বে থাকছে শফিকুল আলমের সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ওয়াইপিএফের জ্বালানি ও অবকাঠামো পলিসি নেটওয়ার্কের অ্যাসোসিয়েট সুবাইতা আরওয়া এবং নেটওয়ার্কের লিড নাফিসা বিনতে ফরিদ প্রভা।

প্রশ্ন- বাংলাদেশ করোনার সময় দশটি কয়লা-ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল করেছে বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাথে তুলনা করলে বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

কয়লা সবচেয়ে সস্তা জ্বালানি এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি আমদানিকৃত কয়লা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, আমাদের ২,৬৯২ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে (জুন ২০২৩ পর্যন্ত) আরো চার থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে নতুন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে, আমাদের বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে বলে রাখা প্রয়োজন, জুন ২০২৩ পর্যন্ত অফ-গ্রিড ও ক্যাপটিভ সিস্টেমস বাদ দিলে, আমাদের জাতীয় গ্রিড এর সক্ষমতা ছিল ২৪,৯১১ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যুক্ত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৩০,০০০ মেগাওয়াট হবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরো ছয় থেকে সাত হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে  আগামী দিনে, পুরোনো এবং অদক্ষ তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হতে পারে তবে, বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি না পেলে, ২০২৭ সাল নাগাদ, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতার কারণে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হবে অথবা তাদের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে না যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে কিংবা গ্রিডে সংযুক্ত হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করা যাবে না কেননা প্রত্যেকটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইকোনমিক লাইফ রয়েছে 

যেহেতু চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ট বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর এটাই  সঠিক সময় গ্রিড-স্কেল সৌর বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট এর খরচ ৮ টাকার চেয়ে কম কয়লা এবং তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ থেকে সৌর বিদ্যুৎ এখন সাশ্রয়ী, এর খরচ আরও কমবে।

বর্তমান বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতার মাঝে, আমরা সহজেই দিনের বেলা প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে পারি একইভাবে, রাতে প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াট এর মতো বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করে তেলভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার কমানো সম্ভব  আশার কথা হলো, কয়েকটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে অপরদিকে, ডেনমার্কের দুটো প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় অঞ্চলে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের  উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে

ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে হলে শক্তি সঞ্চয়ের (Energy Storage) দিকে গুরত্ব দিতে হবেশক্তি সঞ্চয় (Energy Storage) প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হলেও, এর খরচ কমছে অন্যদিকে আমাদের জাতীয় গ্রিড এর বিদ্যুতের গড় খরচ দ্রুত বাড়ছে  সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাথে দুই ঘন্টার সংরক্ষণ সুবিধা যুক্ত করে পাইলট প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে যা ভবিষ্যতে সংরক্ষিত শক্তি ব্যবহারের পথকে সুগম করবে। 

মোট কথা, আমাদের আর্থিক সাশ্রয়, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর দিকে মনোযোগ দেয়া জরুরি নবায়নযোগ্য জ্বালানি এই সুবিধাগুলো দিতে পারে 

প্রশ্ন- নেপাল থেকে পানি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরে অগ্রগতি হলো কতখানি?

দীর্ঘ সময় ধরে চলা আলোচনার পর, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট হাইড্রোপাওয়ার আমদানির বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বলা যায়, বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই ভারতের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নেপাল থেকে হাইড্রোপাওয়ার আমদানি করতে পারবে। 

তবে খেয়াল রাখতে হবে, শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে। অন্যদিকে নেপাল ও ভুটান জলবিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল হওয়াতে শুষ্ক মৌসুমে (শীতকালে) পানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসময় আমাদের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ থাকায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কম সক্ষমতায় চালানো হয়। 

খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, আমরা নেপাল এবং ভুটানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারি কিনা বিশেষ করে বছরের যে সময়টায় আমাদের বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকে। শুধু আমদানি নয়, বিদ্যুৎ রপ্তানির দিকেও গুরুত্ব দিলে আমাদের বিদ্যুৎ খাতের জন্য তা হবে মঙ্গলজনক। 

ভারতের জ্বালানি এক্সচেঞ্জ মার্কেট থেকে সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেনার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশের স্বদিচ্ছা প্রয়োজন। সাথে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনে বিনিয়োগ করতে হবে।

পরিশেষে, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল সমন্বিত উদ্যোগ নিলে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানো ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন দুটোই সম্ভব

প্রশ্ন- আমরা পত্রিকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে জানতে পেরেছি, দেশে এপিভি  সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এটি কেমন ভূমিকা রাখতে পারে

আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং কৃষিনির্ভর দেশে, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে এক সাথে অনেক জমি পাওয়াটা বেশ কঠিন। এগ্রোফোটোভোলটাইক (এপিভি) সিস্টেম এর মাধ্যমে ভুমির বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে কৃষিকাজকে সচল রাখা সম্ভব।  

বাংলাদেশে একটি এপিভি প্রকল্প সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হয়েছে শুনেছি। আবার কয়েকটি আন্তর্জাতিক গবেষনা প্রবন্ধ থেকে জেনেছি, একই জমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং কৃষির ফলন দুটোর সমন্নিত আর্থিক মূল্য শুধুমাত্র কৃষির ফলনের চেয়ে বেশি। 

এপিভি সিস্টেম জনপ্রিয় করা গেলে, কৃষক এবং জমির মালিকদের জন্য অতিরিক্ত আয়ের উৎস তৈরী হবে। এতে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানিরও প্রসার হবে তবে এপিভি সিস্টেম কোনভাবেই গ্রিড-স্কেল সৌর এবং বায়ু বিদ্যুতের বিকল্প নয়।

প্রশ্ন- আমরা যদি ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি পলিসি বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে এটা কিভাবে ডিজাইন করা উচিত? এই নীতির বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জ্বালানি সংক্রান্ত সমস্যাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা নিরুপন এবং উৎস সম্পর্কে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা (Integrated Energy and Power Master Plan) প্রস্তুত করা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে জ্বালানির কোন উৎস ব্যবহার করা বাস্তবসম্মত হবে সেটা সম্পর্কে এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনাতে ধারণা থাকা জরুরি।  

আন্তর্জাতিক বাজারের উপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । সুতরাং সমন্বিত মহাপরিকল্পনাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোতে দিক নির্দেশনা এবং এর আর্থিক সুবিধার তুলনামূলক চিত্র (বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে) থাকা প্রয়োজন। 

আমদানি নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব গ্যাস উত্তোলনে  গুরুত্ব দেয়ার সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের লাগামহীন উর্ধমুখী গতি নিয়ন্ত্রন করার ছক থাকা জরুরি। এছাড়া, ভবিষ্যতে এনার্জি স্টোরেজ ব্যবহারের জন্য রূপরেখা থাকাটা সমীচীন হবে।

সর্বোপরি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ এখানে গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

প্রশ্ন- বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, আপনি কি মনে করেন এটি একটি নিছক সংখ্যা? অথবা আমাদের আরও বিবেচনার সাথে এই লক্ষ্যটি ঠিক করতে হবে

বর্তমানে আলোচনা হচ্ছে ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি থেকে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা  নিয়ে। তবে আমি মনে করি নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষমাত্রা ৪০ শতাংশ ঠিক করা উচিত এবং সে লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ করে যেতে হবে।  

যদিও নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ২০২০ সালে আমরা অর্জন করতে পারিনি কিংবা ২০২৩ সালে এসেও আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান মাত্র তিন বা সাড়ে তিন শতাংশের মতো, বর্তমান পরিস্থিতি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে নানান দিক থেকেই অনুকূল। বিশেষ করে সৌরবিদ্যুৎ এখন যথেষ্ট সাশ্রয়ী শিল্প কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের চাহিদা বাড়ছে এবং বেশ কয়েকটি ইউটিলিটিস্কেল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে কিছু বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পও বাস্তবায়িত হচ্ছে। বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে বড় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে এবং পূর্ণাঙ্গ ভূমি জরিপ করতে পারলে, কৃষিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির যথেষ্ট সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব পাশাপাশি ডিজেল চালিত সেচব্যবস্থা সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলে প্রায় ৪,০০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা অর্জন করা যাবে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের সুযোগ রয়েছে। 

কাজেই ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা অর্জন সম্ভব বলেই মনে হয় তবে বছর ভিত্তিক পরিকল্পনা করা এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ও উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা সমীচীন হবে আর আমাদের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে টেকসই করতে হলে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির তো বিকল্প নেই দিনের আলো থাকাকালীন, প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে, একটি শিল্পকারখানা ৪ (চার) টাকার বেশি সাশ্রয় করতে পারে।

গ্রিডস্কেল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ ৭.৫ থেকে ৮ টাকা যা গ্রিডের বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। 

সুতরাং, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব ঘাটতি কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের সহায়তা করবে  

প্রশ্ন- নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের জন্য আর কী কী বিষয় মাথায় রাখা যেতে পারে?

নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পেতে হলে, বিনিয়োগে আস্থার পরিবেশ তৈরী করতে হবে বিনিয়োগের ঝুঁকি প্রশমনে উদ্যোগ নিতে হবে। 

গ্রিডস্কেল সৌরবিদ্যুত প্রকল্পে সব ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কে অব্যাহতি দেয়া হলেও, কারখানা বা বিভিন্ন স্থাপনার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে আমদানি শুল্ক দিতে হয় শুল্ক ছাড় দেয়া হলে, ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনে গতি আসবে। প্রকারান্তে, দেশের বিদ্যুৎখাতের জন্যই এ শুল্ক ছাড় ভালো ফল নিয়ে আসবে।

ব্যাংকগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নে এগিয়ে আসতে হবে।  এর পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রীন বন্ড ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়ন প্রাপ্তির সুযোগ তৈরী করতে হবে। 

উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে 

 

Scroll to Top