লিখেছেনঃ সুমাইয়া খান
রাজধানীর অন্যতম জনবহুল এলাকা হচ্ছে মিরপুর। ঢাকার এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস করে। এলাকাটিতে সবসময়ই যানজটের সমস্যা অন্য অনেক এলাকার তুলনায় বেশি। কিন্তু এই সমস্যাটি বিগত কয়েক বছরে মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ সরকার ‘মেট্রো রেল’ প্রকল্প হাতে নেয়ার পর থেকে মিরপুর এলাকায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
এই এলাকায় প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় কাটানোর কারণে ক্রমবর্ধমান অনেক সমস্যাগুলোই আমার চোখে পড়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে মিরপুর এলাকার যানজটের সমস্যাটি আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এই প্রকল্পের কারণে মেইন রোডের বিভিন্ন অংশ কাটা, রাস্তা ছোট করে ফেলা, যথেষ্ট সংখ্যক বিকল্প পথের ব্যবস্থা না থাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জনসংখ্যার তুলনায় মিরপুরে গণপরিবহনের অপ্রতুলতাও একটি চিরকালীন সমস্যা। এই অবস্থায় যানজটের কারণে আগের চেয়ে এখন গড়ে এক থেকে দুই ঘন্টা সময় বেশি রাস্তায় অতিবাহিত করতে হয়। কখনো কখনো এই সময় তিন থেকে চার ঘন্টায়ও চলে যায়। বৃষ্টির দিনে এই সমস্যা আরও অনেক খারাপ অবস্থায় চলে যায়। রাস্তা কাটার কারনে এখন মিরপুরের অধিকাংশ অংশেই বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং যানজটের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেড়ে যায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবি জনগন, এম্বুল্যান্সে রোগী সবাই প্রায় প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে এই সমস্যা অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলে।
সম্ভাব্য সমাধানঃ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই সমস্যাটি এখন যেই অবস্থায় আছে, এখান থেকে পরিত্রান পাওয়া আরও কয়েক বছরের জন্য অসম্ভব মনে হচ্ছে। যতদিন শহর জুড়ে মেট্রোরেল প্রকল্পটি চলতে থাকবে, পুরো রাজধানীতেই যানজট সমস্যাটি তীব্র আকারে উপস্থিত থাকবে এবং দিন দিন বাড়বে। একারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলমান প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে হবে। প্রকল্প শেষ করে মেট্রোরেল চালু হলে আমরা আশা করতে পারি, যানজটের বর্তমান সমস্যা কমবে, এমনকি সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প শেষ করে নগরীতে মেট্রোরেল চালু করলে যানজট সমস্যা বেশ অনেকখানি নিরসন হওয়া সম্ভব। প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে এবং নগরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়ছে। তাই যত সম্ভব শীঘ্রই কাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ কমানোই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়।