লিখেছেনঃ আফরিন মেহতাজ, ঢাকা থেকে
ভূমিকা:
সাম্প্রতিককালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে করে তুলেছে ব্যাহত। সাধারণত যে কোনো ধরনের দুর্যোগের শিকার হয় সবার আগে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরাই। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। অতিরিক্ত গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বাতাস খাওয়ার সৌভগ্য গুটিকয়েক মানুষেরই হয়। এরকম পরিস্থিতিতে তৃনমূল মানুষের অবস্থা দাঁড়িয়েছে পানি ছাড়া মাছের মতো। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ন ঢাকার পরিবেশকে করে তুলেছে মারাত্মকভাবে দূষিত। প্রায়ই অনুভব হচ্ছে ৪১-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। Economist Intelligence Unit এর তথ্যমতে পৃথিবীর অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় সিরিয়ার দামেস্কের পরই স্থান করে নিয়েছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এবং ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে এলিফ্যান্ট রোড একটি। কিছুদিন আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এলিফ্যান্ট রোড এলাকার বায়ু সবচেয়ে দূষিত। প্রতিদিন এখানে কাজের সুবাদে অনেক মানুষ আসে। খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয় এই এলাকায়। তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক জীবনযাপন হয়েছে ব্যাহত, শারীরিক, মানসিক অসুখ বিসুখ হয়ে উঠেছে জীবনের নিত্যসঙ্গী। একটি এলাকায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারলে অন্যান্য এলাকাতেও পরিবর্তন আনার জন্য সবাই উৎসাহিত হবে।
সমস্যা:
- এলাকাটি যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ
- প্রচুর বাণিজ্যিক বিপণীবিতান
- জায়গাটির তুলনায় গাছপালা একেবারেই কম
- যারা এখানে থাকেন বা কাজের জন্য আসেন তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
প্রস্তাবনা এবং উপসংহার:
- বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই। নীতিনির্ধারকদের সবসময়ই খেয়াল রাখা উচিত গাছ কেটে যেন কোনো কর্মসূচি করা না হয়।
- রাস্তার আইল্যান্ডে বৃক্ষরোপণ এবং সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা।
- যেকোনো উৎসবকে ঘিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়া। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের সহায়তা নেয়া।
- বহুতল ভবনে যারা থাকেন প্রত্যেকের বারান্দায় কিংবা বাসার ছাদে গাছ লাগানোর ব্যাপারে ভবনমালিকদের উৎসাহিত করা।
- সর্বাপোরি এলাকাবাসীর মাঝে বৃক্ষরোপণ এর ব্যাপারে সচেতনতা এবং উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে ব্যানার লাগানো এবং লিফলেট লাগিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসা।