ওয়াইপিএফ ফেলোশিপঃ আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেতুবন্ধন

“রক্তের দামে পাওয়া এই বাংলাদেশ…

সহস্র বছর পাড়ি দেবে অবিচল, অনি:শেষ!”


বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন হচ্ছে সারা দেশ ও বহির্বিশ্বজুড়ে। সেই সাথে উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ৫০ বছর পূর্তি।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল, মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। জাতির জন্মলগ্নে দাঁড়িয়ে এক অভূতপূর্ব শপথ নিয়েছিলেন এই ভূখন্ডের জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, স্বাস্থ্যবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, আমলা ও তরুণসহ  সর্বস্তরের পেশাজীবীবৃন্দ। সেই  ঘটনারই স্মারক শ্রদ্ধা জানানো হলো ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (ওয়াইপিএফ) আয়োজিত ‘ফেলোশিপ উদ্বোধন’ এর মাধ্যমে।

ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (ওয়াইপিএফ) দেশ ও বহির্বিশ্বে অবস্থানরত বাংলাদেশী তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের নিয়ে তৈরি একটি পলিসি ফোরাম। নীতি নির্ধারণে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির নিমিত্তে বিশেষজ্ঞদের সাথে গবেষণা, আলাপ আলোচনা এবং অ্যাডভোকেসির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এই ফোরামের অন্যতম উদ্দেশ্য। সেই সাথে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানের তরুণদের যে বিশেষায়িত জ্ঞানের প্রয়োজন, ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ওয়াইপিএফ। 

আর এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই যুগোপযোগী ও সর্বকালীন সংস্কারকে বাস্তবায়িত করতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বহুল প্রতীক্ষিত  এই  বুদ্ধিবৃত্তিক নেটওয়ার্ক  “ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ”- এর যাত্রা উন্মোচন হলো। উক্ত আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন  আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, স্বাস্থ্যবিদ, পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সরকারি নীতি নির্ধারক, কূটনীতিক, আইপ্রণেতা এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ এবং সেই সাথে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ সমাজ। সকলেই যূথবদ্ধভাবে শপথ গ্রহণ করেন আগামীর বাংলাদেশ আরো উন্নত ও শক্তিশালীকরনে ও সেই পটরেখা বাস্তবায়নে স্ব-স্ব দক্ষতা অনুযায়ী অবদান রাখার। দেশ ও দেশের বাইরে মোট ১০০ জন কীর্তিমান পেশাজীবীদের নিয়ে ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ নেটওয়ার্ক গঠিত হলো,  যেখানে তাঁরা মোট ১০ টি পলিসি খাত নিয়ে কাজ করবেন। 

ফেলোশিপ নেটওয়ার্কের কর্মপরিসর নিয়ে ফোরামের স্থানীয় সরকার  ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন বিষয়ক  সিনিয়র ফেলো  প্রফেসর ডক্টর তরিকুল ইসলামের একটি কথা বেশ প্রণিধানযোগ্য। তাঁর ভাষ্য  “একাডেমিক ইন্টেলেকচুয়াল এবং পলিসি মেকারদের মধ্যকার সেতুবন্ধনটি জরুরি” । আর বাংলাদেশে এই কাজটিই করতে সচেষ্ট থাকবে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। 

ওয়াইপিএফের সম্মানিত ফেলোগণ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছেন। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের এই ১০০ জন মানুষের সম্মিলিত মেধায় ও উদ্যোগে আরও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে বাংলাদেশের  ভবিষ্যৎ, এটিই ওয়াইপিএফের স্বপ্ন। আর তাই ফোরামের মাধ্যমে  তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্মজয়ন্তীতে এই উপহার – ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। 

নাগরিক, নীতি এবং  প্রগতি 

বাংলাদেশ তার পথচলা শুরু করেছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত এক হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দায় নিয়ে। কিন্তু জীবনের মানোন্নয়নের জন্য জনগোষ্ঠীর  অদম্য নাগরিক প্রচেষ্টা, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নীতিমালা,  সরকার ও  বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর  কর্মতৎপরতার  সম্মিলনেই আজকের প্রগতি রচিত হয়েছে। 

যে দেশের জন্ম হয়েছিল, ৭৮ শতাংশ অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী,  কয়েক কোটি পুষ্টিহীন শিশু আর নিরক্ষর প্রাপ্তবয়ষ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে। আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে ও গণমাধ্যেম সেই দেশ আলোচিত হচ্ছে- উঠে দাঁড়ানোর বিস্ময় হিসেবে। 

আগামীর চ্যালেঞ্জও কম নয়। ভিন্ন ভিন্ন খাতে বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই রচিত হবে আমাদের আগামীর রূপকল্প। সেই লক্ষ্যে,  ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ প্রোগাম কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে, যার একটি  ভবিষ্যৎ চিন্তাকাঠামোর সন্ধান। উদাহরণস্বরূপ, ভবিষ্যৎ চিন্তাকাঠামো প্রকল্পে  আমরা আগামী বেশ কয়েক বছরে  জাতীয় জীবনে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে কী কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ গবেষণা করবো এবং নতুন চিন্তাভাবনার দ্বার উন্মোচনের প্রচেষ্টা চলবে। সেই সাথে,  চলমান দারিদ্র্য নিরসনে এবং সকলের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে দারিদ্র্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনায় রচিত হবে আমাদের কর্মপরিসর। 

জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় বিভিন্ন খাতভিত্তিক আন্তঃসংযোগের যে অনস্বীকার্যতা  রয়েছে, সে প্রসঙ্গে  ওয়াইপিএফ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও পাবলিক  সার্ভিস ফেলো শামীমা আক্তার জাহান পপির উদ্ধৃতিটি প্রণিধানযোগ্য বিধায় এই লেখায় উল্লেখ করতে চাই। তাঁর অনুধাবন, “ এখানে আমরা সবাই যে শিক্ষা, চিকিৎসা, অবকাঠামো, জলবায়ু নিয়ে কথা বলছি সবকিছুই কোন না কোনভাবে আমার সেক্টর এর সাথে জড়িত। আমার কাছে মনে হয়েছে  “ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ” এর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমরা সকলে এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে যুক্ত থাকার মাধ্যমে প্রত্যেকে  প্রত্যেকের জন্য একটা বড় সাহায্য ও সমর্থন হতে পারব । সেটি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমেই হউক কিংবা কাজের ক্ষেত্রে আমার যে দায়িত্ববোধ সেটা আছে কিনা সে ব্যাপারে স্বচ্ছতাই হউক। অর্থাৎ মুক্তভাবে  একজন আরেকজনের  কাজের প্রতিফলন ও মূল্যায়ন করতে পারার সুযোগ”। 

নতুন বাংলাদেশ ধারণার বিস্তৃত ও বৈশ্বিক যোগসূত্রতা 

একটি সমতাবাদী বাংলাদেশের ধারণার সাথে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের একটি দৃঢ় অবস্থানও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশে এবং দেশের বাইরে আমাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার এবং তা মোকাবেলা করার পথ সুগম হবে।

ফলশ্রুতিতে, বিভিন্ন ফেলোদের কর্মদক্ষতা,  সম্মিলিত অভিজ্ঞতা এবং মেধার আলোকে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা নিরূপণ করা, তার বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া, এবং বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী শেকড়ে জন্ম দেওয়া সম্ভবপর হবে। সেই সাথে, ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ উদ্যোগের মাধ্যমে ওয়াইপিএফের ব্যানারে একটি দেশীয়, আঞ্চলিক, এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরী হবে। 

এমনটিই গুরত্বারোপ করা হয়েছে ওয়াইপিএফ কর্মসংস্থান ও বেসরকারি খাত উন্নয়ন এর  সিনিয়র ফেলো  মারিলিন আহমেদের ভাষ্যে। তিনি বলেন- ” একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশকে বিদেশীরা চিনত না কিংবা ভারতের পাশের একটি দেশ হিসেবে চিনতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশকে সবাই আলাদা ভাবে চেনে। অর্থাৎ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এর ব্র্যান্ড টা তৈরি হচ্ছে। সামনে বাংলাদেশের জন্য আরও যে চ্যালেঞ্জ আসছে, সেগুলো মোকাবেলায় বাংলাদেশ ঠিক কতটুকু প্রস্তুত আছে সেটি নিয়ে কাজ করার জন্য “ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ”  খুবই কার্যকরি একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।” 

শুধু আন্তর্জাতিক পরিসরে সফট ব্র্যন্ডিং নয়, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে দেশীয় নীতিমালার যুগোপযোগী প্রক্ষেপণটিও অতীব জরুরি। আমাদের ফেলোশিপ প্রোগ্রামে সেই কূটনৈতিক লড়াইয়ের রসদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও পর্যালোচনাও থাকছে।  

ইতোমধ্যে ওয়াইপিএফের যে কয়েকটি  ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রম রয়েছে-  তার মাঝে একটি  রোহিঙ্গা অ্যাডভোকেসি। এই পুরো  বছরব্যাপী  অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো রোহিঙ্গাদের সসম্মানে তাদের পিতৃভূমিতে ফেরত পাঠানোর কর্মকৌশল জিইয়ে রাখা। এছাড়াও, চলতি বছরে আমাদের রোড টু রিফর্মস আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে  বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োজনীয় ও  অভিসম্ভাবী পরিবর্তন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। 

অতীতের গৌরবময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের আলোর খোঁজে 

দেশের মাটিতে মিশে থাকা পূর্বপুরুষের রক্তঋণের  প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা আর দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা নূতন  প্রজন্মের জাতিভাবনার যুগোপযোগী মেলবন্ধনে রচিত হতে পারে  আগামীর জাতি গঠনের  রুপকল্প।  এ ভাবনাটিই উচ্চারিত হলো জেন্ডার এন্ড ইনক্লুশন  ফেলো পারমিতা ইসলামের কন্ঠে। তিনি যাবতীয়  অসমতা, অন্যায় এবং শোসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেন। 

বাংলাদেশ  তার পঞ্চাশ বছরের অগ্রযাত্রায় পৃথিবীর অনেক গৎবাঁধা অনুমান ও সমীকরণকে পেছনে ফেলেছে।  শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে আশাব্যাঞ্জক হারে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাফল্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত মডেল। যদিও ঝুঁকিও কম নেই। এ প্রসঙ্গে ওয়াইপিএফ  সাস্টেনিবিলিটি এন্ড ইনোভেশন ফেলো  কাশফিয়া নেহেরিন উদ্ধৃত ‘ক্রস সেক্টরাল ইন্টারডিসিপ্লিনারি এপ্রোচের অধিগম্যতার বিষয়টি এই আলোচনায় আসতে পারে এই লেখায়।

ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলা ও দায়ী  দেশগুলোর কাছে ক্ষতিগ্রস্থ হিসেবে উপযুক্ত হিস্যা অর্জনও আমাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ খাত। সেই জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর ঐক্যমত্য ও যূথবদ্ধতা। গ্লোবাল পলিসি ফেলো এবং বিশ্বব্যাংকে কর্মরত পলিসি বিশেষজ্ঞ ক্যারল কারপিন্সকির মূল্যায়নটি এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। তাঁর মতে- “ আমি আমার কর্মসূত্রে পাওয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একটি ছোট, অপেক্ষাকৃত নবীন দেশ হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশের একটি অবিশ্বাস্য বিশাল বৈশ্বিক পদচিহ্ন রয়েছে। বাংলাদেশের মতো এমন দেশ খুব কমই আছে যাদের প্রতিনিধি বিশ্বের সর্বত্র বিরাজমান। তবে আমি মনে করি এই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ইতিবাচক ও কার্যকরী শক্তিতে রুপান্তরিত করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে”।

ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (ওয়াইপিএফ) এই চ্যালেঞ্জটিই হাতে নিয়েছে। ৫০ বছর আগে আমাদের জন্মলগ্নের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’-এর যে পবিত্র দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আমাদের পূর্বসূরিরা,  সেই অর্পিত দায়িত্বের প্রতি অবিচল আস্থা রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সাফল্য অর্জনের স্পৃহাই হতে পারে নূতন প্রজন্মের অগ্রগামী আদর্শ।  এ লক্ষ্যেই‘ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ’ সেতুবন্ধনের সূচনা। 

লেখকবৃন্দ – 

আহমদ তাওসিফ জামী,  ওয়াইপিএফ ফেলোশিপ প্রোগ্রামের একজন ডেপুটি লিড । তিনি সদ্য ঢাকা কলেজ থেকে  হাই-স্কুল সম্পন্ন করেছেন। 

হাসনাত  কালাম  সুহান, ওয়াইপিএফ কন্টেন্ট এন্ড এডিটোরিয়াল বিভাগের লিড। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে  কর্মরত।

লেখাটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো তে!

Leave a Comment

Scroll to Top