নারী ও সমাজ

জনপ্রিয় ধারার নাটক-সিনেমা, গল্প-উপন্যাসে নারী চরিত্রকে খুব কমই শক্তিমান হিসেবে দেখানো হয়। সেরকমটা দেখালে “ন ডরাই” এর মতোই উদ্ভট সামাজিক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় বলেই হয়তো এ ঝুঁকি নিতে চান না বেশিরভাগ জনপ্রিয় লেখক বা পরিচালকেরা। ধর্ষণের শিকার হলে নারীর “সম্মান” চলে যাবে, পরিবারের “সম্মান” চলে যাবে এরকম ভ্রান্ত-ফালতু আইডিয়াগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে যথেষ্ট বেগবানভাবে ছড়ানো হয়েছে। 

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ। তবে যারা ধর্ষণের শিকার মানুষগুলোকে এক ঘরে করে দেন, তারা শুধু খারাপই না, ভয়াবহ নিকৃষ্ট তারা। 

আমাদের মিডিয়াগুলো ধর্ষণ সম্পর্কিত সামাজিক ট্যাবুগুলো ভাঙ্গার জন্য কাজ করতে পারে সহজেইঃ

১. নারীর কুমারীত্বের সাথে চৌদ্দপুরুষের সম্মান জড়িত আছে এই ফালতু উপদেশ দেওয়া অচিরেই বন্ধ করুন

২. ধর্ষণের শিকার, নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন, তাঁদেরকে মানসিকভাবে দূর্বল না দেখিয়ে মানসিক শক্তির স্তম্ভ হিসেবে দেখান

৩. ধর্ষণকারীদের ভয়ানক সাঁজা দেওয়ার দৃশ্য দেখান। ভিক্টিমের হাতে পোয়েটিক জাস্টিস হিসেবেই দেখান। 

৪. ধর্ষণের শিকার মানুষগুলো যে সমাজে একা নন তা ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। প্রয়োজনে নুসরাতের জানাযায় মানুষের ঢল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত মানুষগুলোকে দেখে ইন্সপাইরেশন নিন যে ভিক্টিমরা একা নন। 

ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আর এজন্য আমরা সমাজের প্রতিটা মানুষ একত্রিত হবো এই প্রত্যাশা রইলো । 

 

 

Author: Aamer Mostaque Ahmed
Authors Bio : কর্মকর্তা, ডিএফআইডি

Leave a Comment

Scroll to Top